কেমন গেলো ২০২৫

বছরের শেষে এসে পরিবার ও বন্ধুদের মাঝ থেকে বেশ ক'জনের বিয়োগের খবর পেয়ে মন ভারাক্রান্ত হলো। সত্যি, এই জীবনটা খুব ক্ষণস্থায়ী। আমরা কতদিন আমাদের জীবনটা পাবো, সুন্দর করে দিন কাটাবো, তা আমরা কেউ জানিনা। মানুষের জন্ম খানিকটা নিশ্চিত হলেও মানুষের মৃত্যুটা কিন্তু একেবারেই অজানা, অনিশ্চিত। আমরা কে কখন কিভাবে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো তা আমরা কেউ জানিনা। সবই আল্লাহতা'লার কৃপা, উনার ইচ্ছা। উনার কাছ থেকে যখন ডাক আসবে, তখন অন্য কেউ থামাতে পারবেনা। তাই সৃষ্টিকর্তার দেয়া প্রতিটা দিন, মাস, বছরের জন্য আমাদের শোকরানা করা উচিত। 

দেখতে দেখতে আরো একটি বছর শেষ হতে চলল। দেশে বিদেশে কেমন গেলো ২০২৫? 

২০২৫ ছিলো নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনায় ভরা। বছরের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন। আর ক্ষমতায় এসেই তিনি নানা ধরনের বিরূপ মন্তব্য, কটাক্ষ উক্তি, হাস্যকর কার্যকলাপ এর মাধ্যমে সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। এবং এখন পর্যন্ত উনার সেই অস্বাভাবিক, অদ্ভুত আচরণে কোনো ভাটা পড়েনি। এর কারন তিনি আগেও দেখিয়েছেন যে তিনি সবসময় সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু  হতে চান। 

শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্কনীতি চালু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপর অযৌক্তিকর ট্যারিফ মোতায়েন করেন এবং তার ক্ষমতার শুরুতেই শীর্ষ নেতাদের অখুশি করে তোলেন। এছাড়াও আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে তিনি নিয়ে আসেন দারুন কঠোরতা। তারপর থেকে পুরো বছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক অপ্রীতিকর প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। বছরের শেষ নাগাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর নির্দেশে উনিশটি দেশের নাগরিকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে তিনি ভেনিজুয়েলা দেশটির সাথে নানা রকম উস্কানিমূলক কথা চালু করে যুদ্ধে যাবার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।

এদিকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গত অক্টোবার মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে কাগজে কলমে হলেও, ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা ও বর্বরতা ইসরায়েলিরা এখন থামায়নি। সুযোগ পেলেই তারা গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে এবং মানুষ মারছে। গাজায় সর্বস্তরে ভীষণ রকমের খাদ্য ও পানি সংকট বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌছুতে পারছেনা। অন্যদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ ও অস্থিরতা বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে যা কিনা বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি করছে।     

প্রতিবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে আমরা পৃথিবীবাসি রেহাই পাইনা। আফগানিস্তানের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও ভূমিধ্বস, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের ভয়ংকর বন্যা, ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জের হারিকেন ঝড়, ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল, টেক্সাসের বন্যা, এমন অসংখ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় বার বার আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে উপরে একজন আছেন যার ইশারায় এই পৃথিবীটা এক নিমেষেই লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে। আমাদের স্বদেশের মাটিতেও কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া প্রচন্ড ভূমিকম্পের ধাক্কায় ঢাকা ও তার পার্শবর্তী এলাকায় সাংঘাতিক ত্রাসের সৃষ্টি হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেক পুরনো বিল্ডিং হেলে পড়ে। প্রায় ছয়শোর মত হতাহতের খবর পাওয়া যায়। ভূমিকম্প পরবর্তী আফটার শকের চিন্তায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়। 

জুলাই এর গণ অভ্যুথানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। রায়টি নিয়ে মানবাধিকার প্রসঙ্গে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংঘটন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্লেষকরা কেউ কেউ বলছেন এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।   

এআই বা আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত টপিক। আমরা আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এর বহুবিধ ব্যবহার দেখতে পাই। কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে, আগামী দশ বা পনের বছরের মধ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরে এআই এর প্রভাব এতোটাই জড়িয়ে পড়বে যে মানুষের পক্ষে বোঝা মুশকিল হবে, কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা। কোনটা অরিজিনাল, কোনটা কৃত্তিম। কোনটা রিয়্যালিটি আর কোনটা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড। 

একবার ভেবে দেখুন, অনলাইনে একজন ব্যাক্তির সাথে আপনার পরিচয় হলো। ব্যাক্তিগত চ্যাটের মাধ্যমে একে অন্যে সম্পর্কে অনেক তথ্য আদানপ্রদান হলো, পরিবার সম্পর্কে ধারণা করা হলো। তার থেকে ভালো লাগা, বন্ধুত্ব তৈরি হল। তারপর যখন আপনি সামনাসামনি দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন অবাক বিস্ময়ে জানতে পারলেন, যে এই ব্যাক্তিটির বাস ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে। সে কোনো রক্তমাংসের মানুষ নন। তার সাথে দেখা করবেন কি ভাবে? আপনি কি ভার্চুয়াল পৃথিবীতে যাত্রা করবেন নাকি সেই অস্তিত্ববিহীন নামটিকে, যে কোনো মানুষ নয়, তাকে আপনার চেনা পৃথিবীতে, আপনার সামনে নিয়ে আসবেন। 

কিছু দিন আগে একটা খবরে পড়েছিলাম, অস্ট্রেলিয়ার কোনো এক রেডিও চ্যানেলকে চিরতরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারন সেই চ্যানেলের রেডিও জকি যে কিনা কম্যুনিটিতে খুবই পপুলার ছিলো, যার দুই মিলিয়ন ফলোয়ারস ছিলো, দুই বছর পরে আবিষ্কার হয়েছিলো যে সে আসলে মানুষ নয়। সে ছিলো এআই পরিচালিত একটি ভয়েস মাত্র। যার কণ্ঠস্বর ও কথা শুনে এতো এতো ভক্তের জন্ম হয়েছিলো, তার আসলে কোনো শরীর বা চেহারা ছিলোনা। তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ফেইক ছবি ব্যবহার করা হয়েছিলো। কি আজব দুনিয়ায় বাস করছি আমরা। 

এআই মানব সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা, এবং গবেষণার কাজে অসামান্য অবদান রাখছে। তাই বড় বড় টেক জ্যায়ান্ট কোম্পানিগুলো এই বছরে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এআই এর অগ্রগতিকে আরো তরান্বিত করতে। কিন্তু সব ভালোরই মন্দ দিক থাকে। এআই এর ব্যাপক বিস্তৃতির কারনে অনেক মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে। মানবকর্মীর জায়গা দখল করে নিচ্ছে এআই পরিচালিত সিস্টেম। আর সোশ্যাল মিডিয়া খুললে তো সারাক্ষণই দেখা যাবে এআই দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও, গান, সংলাপ, খবর যেগুলা আমাদের ভুল তথ্য দিচ্ছে, বিভ্রান্ত করছে।  

অনলাইন চ্যাট সার্ভিসের বহুল পরিচিত চ্যাটজিপিটি এবছর কম বিপাকে পড়েনি। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ওপেন এআই কোম্পানি একটি বিশাল বড় মামলার সম্মুখীন হয় যখন তাদের চ্যাটজিপিটি একটি টিনএজ কিশোর ছেলেকে বিভিন্ন আলাপচারিতার মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেয় আত্মহত্যা করতে। ছেলেটি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে এবং বাবামা মামলা করলে সেই ঘটনা আমেরিকার কংগ্রেস পর্যন্ত গড়ায়। মামলা নিষ্পত্তির পর থেকে সেই কোম্পানির কোডার বা প্রোগ্ররামাররা আঠারো বছরের নিম্ন ছেলেমেয়েদের একাউন্টে তাদের প্রকৃত বয়স নির্ধারণের একটি বিশেষ উপায় বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং জিপিটি ও ক্লায়েন্ট কথোপকথন মনিটর করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মুশকিল হলো, আমরা মানুষেরা যখন মিথ্যা বয়স বলি বা বয়স লুকাই তখন আমাদের হাতেনাতে ধরার কোনো উপায় ঐ মেশিনগুলার জানা নেই। বেচারা জিপিটি কিভাবে বুঝবে যে তার ক্লায়েন্টের বয়স ১৫ নাকি ৩০। কি অদ্ভুত দুনিয়া। ছোটোরা খালি বড় হতে চায়, আর বড়রা সাজতে চায় ছোট।  

এ বছর আমাদের অস্টিন শহরে আয়োজিত হয়েছে গ্লোবাল ভিলেজ অস্টিন বইমেলা ২০২৫। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের নন্দিত জনপ্রিয় কবি ও গল্পকার সাদাত হোসাইন। লেখকের সাথে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোড়ক উন্মোচন করেছি আমার নতুন বইয়ের - এআই কন্যা। আমার লেখা বইএ নিয়েছি স্বনামধন্য লেখকের অটোগ্রাফ। লেখকের সাথে আলাপচারিতায় তার গল্পের পেছনের গল্পের কথা জেনেছি একটি মনোরম বিকেলে।  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই অত্যাধুনিক যুগে যখন আমরা সর্বদা এআই এআই করছি, তখন গত অক্টোবার মাসে প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে ঘটে গেলো একটি অসামান্য চুরির ঘটনা। চোরেরা কোনো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি এবং সময় নিয়েছে মাত্র চার মিনিট। তাতে অবশ্য চোরদের অসামান্য দক্ষতা ও সুকৌশলের পরিচয় মিলেছে। তারা নির্মাণ শ্রমিক সেজে মিউজিয়ামে ঢুকে, শক্তিশালি যন্ত্রের মাধ্যমে ডিসপ্লে কেইস ভাঙ্গে এবং ফরাসী রাজকীয় মূল্যবান অলংকার ইস্তেমাল করে, যার মধ্যে সম্রাট নেপোলিওনের স্ত্রীর গহনাও ছিলো। ওরা দুটি স্কুটারের মাধ্যমে দ্রুত পালাতে সক্ষম হয় এবং যেতে যেতে তাড়াহুড়াতে একটি রত্নখচিত মুকুট ও কানের দুল ফেলে যায়। এই ঘটনার পর ল্যুভর মিউজিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় রকমের প্রশ্ন উঠে। চুরির সাথে সম্পৃক্ত কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হয় কিন্তু চুরি যাওয়া গহনা ফেরত পাওয়া যায়নি। 

বেশ কয়েক বছর আগে প্যারিস সফরে গিয়ে আমার ল্যুভর মিউজিয়াম পরিদর্শনের সুযোগ মিলেছিল। আমার বাচ্চারা তখন অনেক ছোট। এক বাচ্চা স্ট্রলারে, আর এক বাচ্চা হাতে। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন সকাল থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল। ঝুম ঝুম বৃষ্টির মধ্যে গেটের বাইরে টিকেট কেটে,  কাকভেজা হয়ে মিউজিয়ামে ঢোকার লাইনে তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে, বাচ্চাদের চিৎকার, কান্নাকাটি সহ্য করে অনেক অপেক্ষার পর ভেতরে প্রবেশের সুযোগ মিলেছিল। 

প্রবেশ করেই প্রথম যেটা করতে চেয়েছিলাম সেটা হলো লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিশ্ববিখ্যাত চিত্রকর্ম 'মোনালিসা' দর্শন। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টুরিস্ট, নানান পেশার পর্যটক ও গবেষণাকর্মী এই বিখ্যাত চিত্রকর্মটি দেখতে আসে। এতো এতো মানুষ, কাজেই মোনালিসার ছবিটি যেই ঘরে রাখা ছিলো সেই ঘরে প্রবেশের জন্য ছিলো আরো একটি ঘন্টা খানেকের লাইন। এদিকে আমার এক বাচ্চা তখন খিদার জ্বালায় কাঁদতে, কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর অন্যজন কিছুতেই ঐ রুমে ঢুকতে দেবেনা, সে বাথরুমে যাবে বলে কান্না করছে। অথচ এতো কাছে এসে মোনালিসার সাথে আমার দেখা হবেনা। অতঃপর কি আর করা।  ঠিক করলাম, আমি ও আমার হাজব্যান্ড পালা করে একজন বাচ্চা দেখবে ও অন্যজন ভেতরে ঢুকবে।   

আমার মনে পড়ে, রুমে ঢোকার লাইনে দাঁড়িয়ে একটু একটু আগাতে আগাতে যখন শেষ পর্যন্ত সেই ভূবন ভোলানো হাসিমাখা নারীর মুখটির সামনে এসে দাঁড়ালাম, তখন আমার উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রচন্ড রকমের ভাঁটা পড়েছে। আরো ভাটা পড়লো ছবিটি দেখে। খুব সাদামাটা এক নারীর প্রতিকৃতি। কি বিশেষ আছে ঐ ছবিতে, ঐ ছবিটার বিশেষত্ব কি, কিছুই বুঝতে পারলামনা। মোনালিসার হাসিকে বলা হয় একাধারে আকর্ষনীয় এবং রহস্যময়ি। রহস্যের কোনো ছিটাফোঁটা সামনাসামনি দেখে ঐ ছবিতে পেলামনা। হাসিটাও মনে দাগ কাটেনি। ছবিটার এতো জনপ্রিয়তার কারন কি? আমাদের মত সাধারন মানুষের তা বোঝার বাইরে।

পুরা দুনিয়ার বিশালত্বের মাঝে আমরা একেক জন খুবই ক্ষুদ্র, খুবই নগণ্য। আমাদের একার জন্য দুনিয়াতে কোনো কিছু থেমে থাকবেনা। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই তা ভুলে যাই, ভুলে যাই আমাদের অবস্থানের কথা। আমরা অনায়াসে নিজেকে খুব ক্ষমতাধর ভাবতে শুরু করি।  ছোটোখাটো ব্যাপার নিয়ে এতোই মশগুল হয়ে যাই, অথবা নিজেকে এতো বেশি বড় ভাবতে শুরু করি যে আমরা আমাদের প্রকৃত অবস্থান ভুলে যাই। যত দিন যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে নারসিসিস্টিক প্রবৃত্তি আরো বেশি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন দিন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার দিকে লক্ষ্য রাখা এখন বিশেষ ভাবে জরুরি। মেডিটেশন বা ধ্যান আমাদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সবাইকে আগামি বছর ২০২৬ এর অগ্রিম শুভেচ্ছে।

Comments

  1. অবশ্যই। সবসময় আল্লাহর শুকর গোজার করতে হবে। সেইসাথে সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে। বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমাদের হাত নেই, তবে আমাদের ছোট পরিসরে মিলেমিশে থাকতে হবে। দেখা সাক্ষাত হয়তো কম হয়, তবে দূর থেকেই আমরা একে অপরের মঙ্গল কামনা করতে পারি।
    এটি অতি তথ্যপূর্ণ একটি লেখা। তবে পাশাপাশি আরও ইতিবাচক (পজিটিভ) কিছু ঘটনা দেওয়া যেতো। পৃথিবীতে নিশ্চই অনেক ভাল কিছুও হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

    ReplyDelete
  2. A comprehensive & thoughtful summary of 2025.
    Enjoyed reading it

    ReplyDelete

Post a Comment